ঢাকা,মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪

বেড়েছে সবজির দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক ::

সাম্প্রতিক সময়ের পরিবহন ধর্মঘটের অজুহাতে প্রায় সব ধরনের সবজির দাম ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। বিক্রেতারা বলছেন, নিরাপদ সড়কের দাবিতে দেশব্যাপী শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে পণ্য পরিবহন বন্ধ ছিল। ফলে বাজারে সবজির সরবরাহে ব্যঘাত ঘটে। এর প্রভাবে বেড়েছে সবজির দাম। এছাড়া বেড়েছে কাঁচা মরিচের দাম। তবে মুরগির দাম কমলেও স্থিতিশীল রয়েছে মাছ–মাংস।

গতকাল নগরীর কাজীর দেউড়ি ও বেটারি গলি কাঁচাবাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কাকরল এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে গিয়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। তিতাকরলা কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ৭০ টাকা, বরবটি ১০ টাকা বেড়ে ৬০ টাকা ও টমেটো ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ফুলকপি ২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২৩০ টাকা, বেগুন ১০ টাকা বেড়ে ৬০ টাকা, শসা ১০ টাকা বেড়ে ৫০ টাকা,শিম ১০ টাকা বেড়ে ১৪০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, লাউ ১০ টাকা বেড়ে ৪০ টাকা, ঢেড়শ ১০ টাকা বেড়ে ৬০ টাকা,পটল ১০ টাকা বেড়ে ৫০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া পাঁকা ৫ টাকা বেড়ে ৩০ টাকা এবং মিষ্টি কুমড়া কাঁচা ১০ টাকা বেড়ে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে কাঁচা মরিচ এক সপ্তাহের ব্যবধানে ৩০ টাকা বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। শাকের মধ্যে মাঝারি সাইজের এক আঁটি মিষ্টিকুমড়া শাক ২৫ টাকা, পাট শাক ১৫ টাকা, লাল শাক ১৫ টাকা, পুঁইশাক ১৫ টাকা, পালং শাক ১৫ টাকা, জোড়া আঁটি ডাটা শাক ৩৫ জোড়া এবং কলমী শাক ১০–১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

কাজীর দেউড়ির সবজি বিক্রেতা মোহাম্মদ আজম জানান, সম্প্রতি পরিবহন ধর্মঘটের কারণে পণ্য পরিবহন ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে। উত্তরবঙ্গসহ দেশের নানা প্রান্ত থেকে সবজি বোঝাই ট্রাক আসতে পারেনি। চট্টগ্রামের স্থানীয় উপজেলাগুলোতে অতি বৃষ্টির কারণে অনেক ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। তাই স্থানীয় পর্যায় থেকে সবজিও আসছে কম। যার প্রভাবে সবজির দাম গত সপ্তাহের তুলনায় বেড়ে গেছে।

কাজীর দেউড়ি বাজারের ক্রেতা এম এম ইলিয়াস উদ্দিন বলেন, প্রায় সময় ব্যবসায়ীরা নানা অজুহাতে সবজির দাম বাড়িয়ে দেয়। এটা নতুন কিছু নয়। সরবরাহ পর্যাপ্ত থাকলেও তারা সরবরাহ সংকটের কথা বলে। ফলে মধ্যবিত্তদের জন্য এটি বিরাট বোঝা হয়ে দাঁড়ায়। তাই প্রশাসনের নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা উচিত।

অপরদিকে বেটারি গলি মাছ বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, দেশী শিং মাছ বিক্রি হচ্ছে ৫০০–৬০০ টাকায়। এছাড়া কই ২০০–৩০০ টাকা,গলদা চিংড়ি আকারভেদে ৭০০–৮০০ টাকা, তেলাপিয়া ১৫০–১৭০ টাকা, পাঙ্গাস ১৫০–২০০ টাকা, লইট্টা ১১০–১২০ টাকা, কেচকি ২০০–২৫০ টাকা, দেশী মাগুর বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, শৈল ৪০০–৪৫০ টাকা, কাতাল ২৫০–৩০০ টাকা, রুই ২৫০–৩০০ টাকা, বোয়াল ৭০০–৮০০ টাকা, বাটা মাছ ৪৫০–৫০০ টাকা, কোরাল ৫০০–৫৫০ টাকা, রূপচাঁদা (সাদা) ৭০০–৮০০ টাকা,রূপচাঁদা (কালো) ৪০০–৫০০ টাকা এবং ইলিশ আকারভেদে ৭৫০ থেকে দেড় হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মাছ বিক্রেতা আবদুস শুক্কুর বলেন, গত দুই সপ্তাহ ধরে মিঠা পানির মাছের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। এছাড়া সামুদ্রিক মাছের সরবরাহও বড়েছে।

অপরদিকে ব্রয়লার মুরগি কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ টাকায়। এছাড়া দেশি মুরগি ৪০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৩৮০ টাকা। এছাড়া ছাগলের মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকা দরে। অন্যদিকে গরুর মাংস হাড়ছাড়া ৬০০ টাকা এবং হাড়সহ বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ টাকায় বিক্রি।

পাঠকের মতামত: